ডাটা এন্ট্রি করে আয় বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় অনলাইন ইনকামের পদ্ধতিগুলোর মধ্যে একটি। সহজ ভাষায় বলতে গেলে, এটি হলো বিভিন্ন ধরনের তথ্য কম্পিউটার সিস্টেমে সঠিকভাবে প্রবেশ করানোর প্রক্রিয়া। বড় কোম্পানিগুলো তাদের বিপুল পরিমাণ ডাটা ম্যানেজ করার জন্য প্রায়ই বাইরের কর্মী বা ফ্রিল্যান্সারদের সহায়তা নেয়।
এ ধরনের কাজের মধ্যে রয়েছে হাতে লেখা ডকুমেন্ট টাইপ করা, এক্সেল শীটে তথ্য সংরক্ষণ করা, অনলাইন ফর্ম পূরণ করা, PDF থেকে টেক্সট কপি করা ইত্যাদি। বর্তমানে এই কাজের চাহিদা ব্যাপকভাবে বেড়েছে কারণ ডিজিটালাইজেশনের যুগে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানই তাদের ডাটা সঠিকভাবে সংরক্ষণ করতে চায়। গবেষণা বলছে, ২০২৫ সালের মধ্যে গ্লোবাল ডাটা এন্ট্রি মার্কেট ৪.৮ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।
বাংলাদেশে অনেক তরুণ-তরুণী এখন এই পথে অনলাইন ইনকাম করছেন, যারা ডাটা এন্ট্রি করে আয় করছেন এবং এটি তাদের জন্য একটি স্থায়ী আয়ের উৎস হয়ে উঠছে।
ডাটা এন্ট্রি করে কীভাবে আয় করা যায়? (How to Earn Money Through Data Entry)
অনলাইনে ডাটা এন্ট্রি করে আয় করার একাধিক উপায় রয়েছে। প্রথম এবং সবচেয়ে জনপ্রিয় উপায় হলো ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম যেমন Upwork, Fiverr এবং Freelancer-এ কাজ খোঁজা। এসব প্ল্যাটফর্মে প্রতিদিন হাজারো ডাটা এন্ট্রি সংক্রান্ত প্রজেক্ট পোস্ট করা হয়, যেখানে আপনি আপনার দক্ষতা অনুযায়ী বিড করতে পারেন। ডাটা এন্ট্রি করে আয় করতে হলে এসব প্ল্যাটফর্মে একটি শক্তিশালী প্রোফাইল তৈরি করাও জরুরি।
দ্বিতীয় উপায় হলো সরাসরি কোম্পানির জন্য কাজ করা। অনেক প্রতিষ্ঠান রিমোট ডাটা এন্ট্রি অপারেটর নিয়োগ দেয়, যাদের কাজ হলো নিয়মিতভাবে নির্দিষ্ট ডাটা সিস্টেমে ইনপুট দেওয়া। LinkedIn, Glassdoor বা Indeed-এর মতো জব পোর্টালে এই ধরনের চাকরির বিজ্ঞপ্তি পাওয়া যায়, যেখান থেকে আপনি ডাটা এন্ট্রি করে আয় শুরু করতে পারেন।
তৃতীয় একটি বিকল্প হলো পার্ট-টাইম বা ফুল-টাইম রিমোট চাকরি নেওয়া। কিছু প্রতিষ্ঠান ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট বা ডাটা ম্যানেজমেন্ট স্পেশালিস্ট হিসেবে কাজ করার সুযোগ দেয়, যেখানে ডাটা এন্ট্রি একটি বড় অংশ জুড়ে থাকে। আপনি যদি ধারাবাহিকভাবে কাজ করতে পারেন, তাহলে ডাটা এন্ট্রি করে আয় করা আরও সহজ হবে।
অনলাইনে ডাটা এন্ট্রি কাজের ধরন
ডাটা এন্ট্রি কাজের বিভিন্ন ধরন রয়েছে, যার প্রতিটির জন্য আলাদা আলাদা দক্ষতার প্রয়োজন হয়। সবচেয়ে সাধারণ ধরন হলো সাধারণ টাইপিং কাজ, যেখানে হাতে লেখা বা স্ক্যান করা ডকুমেন্ট কম্পিউটারে টাইপ করতে হয়। এই ধরনের কাজের জন্য দ্রুত টাইপিং স্পিড এবং ভালো ভাষাগত দক্ষতা প্রয়োজন, যা অর্জন করে আপনি সহজেই ডাটা এন্ট্রি করে আয় করতে পারবেন।
অন্য একটি সাধারণ কাজ হলো ফর্ম ফিলিং, যেখানে অনলাইন বা অফলাইন ফর্মে নির্দিষ্ট তথ্য পূরণ করতে হয়। অনেক গবেষণা সংস্থা বা মার্কেট রিসার্চ কোম্পানি এই ধরনের কাজ আউটসোর্স করে থাকে। এছাড়াও PDF ফাইলকে এডিটেবল ওয়ার্ড বা এক্সেল ফাইলে রূপান্তর করার কাজও বেশ চাহিদাসম্পন্ন। এসবের মাধ্যমে আপনি ডাটা এন্ট্রি করে আয় বাড়াতে পারেন।
একটি বিশেষ ধরনের ডাটা এন্ট্রি কাজ হলো ক্যাপচা এন্ট্রি, যেখানে বিভিন্ন ওয়েবসাইটের ক্যাপচা কোড ইনপুট করতে হয়। যদিও এই কাজটি কিছুটা একঘেয়ে, কিন্তু এটি শুরু করার জন্য ভালো একটি অপশন। ওয়েব রিসার্চ এবং ডাটা সংগ্রহও ডাটা এন্ট্রির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যেখানে ইন্টারনেট থেকে নির্দিষ্ট তথ্য খুঁজে এনে সেগুলো সংগঠিতভাবে সংরক্ষণ করতে হয়। এসব দক্ষতা শিখে আপনি সহজেই ডাটা এন্ট্রি করে আয় করতে পারবেন।
কোথায় এবং কীভাবে ডাটা এন্ট্রি কাজ পাবেন?
ডাটা এন্ট্রি কাজ খোঁজার সবচেয়ে ভালো জায়গা হলো ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস। Upwork, Fiverr এবং Freelancer-এ নিয়মিতভাবে এই ধরনের কাজ পোস্ট করা হয়। Upwork-এ সাধারণত বড় বাজেটের প্রজেক্ট পাওয়া যায়, যেখানে Fiverr-এ আপনি ছোট ছোট গিগ তৈরি করে কাজ পেতে পারেন।
মাইক্রোওয়ার্ক সাইট যেমন Amazon Mechanical Turk (MTurk) এবং Clickworker-এও ডাটা এন্ট্রি সংক্রান্ত ছোট ছোট টাস্ক পাওয়া যায়। যদিও এসব সাইটে কাজের পারিশ্রমিক তুলনামূলকভাবে কম, কিন্তু এটি অভিজ্ঞতা বৃদ্ধির জন্য ভালো একটি মাধ্যম। এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে আপনি ভবিষ্যতে আরও বড় বড় প্রজেক্টে ডাটা এন্ট্রি করে আয় করতে পারবেন।
আপনি যদি সরাসরি কোম্পানির সাথে কাজ করতে চান, তাহলে Remote.co, We Work Remotely বা FlexJobs-এর মতো রিমোট জব বোর্ডে খোঁজ করতে পারেন। এছাড়াও ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপ যেমন “Freelancers in Bangladesh” বা “Online Data Entry Jobs” নিয়মিত কাজের পোস্ট শেয়ার করে থাকে। এসব প্ল্যাটফর্ম থেকেই অনেকে ডাটা এন্ট্রি করে আয় করছেন।
আরো দেখুন – 6 Exciting Skills To Learn in 2025
ডাটা এন্ট্রি কাজ শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা
ডাটা এন্ট্রি কাজে সফল হতে হলে কিছু নির্দিষ্ট দক্ষতা অর্জন করা প্রয়োজন। প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো টাইপিং স্পিড। আদর্শভাবে আপনার প্রতি মিনিটে কমপক্ষে ৪০-৫০ শব্দ টাইপ করতে পারা উচিত। অনলাইনে বিভিন্ন টাইপিং প্র্যাকটিস টুল যেমন TypingTest.com বা 10FastFingers ব্যবহার করে আপনি এই দক্ষতা উন্নত করতে পারেন। ডাটা এন্ট্রি করে আয় বাড়াতে হলে এই দক্ষতা অপরিহার্য।
দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা হলো Microsoft Excel এবং Google Sheets-এ দক্ষতা। ডাটা সংগঠিত করতে VLOOKUP, Pivot Table, Filtering এবং অন্যান্য অ্যাডভান্স ফাংশন জানা থাকলে আপনি বেশি বেতনের কাজ পেতে পারেন। ইউটিউবে অসংখ্য ফ্রি টিউটোরিয়াল রয়েছে যেগুলো দেখে আপনি এই দক্ষতাগুলো শিখতে পারেন এবং ডাটা এন্ট্রি করে আয় আরও বাড়াতে পারেন।
ভাষাগত দক্ষতাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। বেশিরভাগ ডাটা এন্ট্রি কাজের জন্য ইংরেজি ভাষার ভালো দখল প্রয়োজন, তবে বাংলা ভাষায়ও কিছু কাজ পাওয়া যায়। এছাড়াও মনোযোগ দেওয়ার ক্ষমতা এবং বিস্তারিত কাজের প্রতি আগ্রহ এই কাজে সফল হওয়ার জন্য অপরিহার্য। এসব গুণ অর্জন করে আপনি ধারাবাহিকভাবে ডাটা এন্ট্রি করে আয় করতে পারবেন।
ডাটা এন্ট্রি কাজ কিভাবে করতে হয়? কিভাবে শুরু করবেন?
ডাটা এন্ট্রি কাজ শুরু করার প্রথম ধাপ হলো প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করা। আপনি যদি একদম নতুন হন, তাহলে প্রথমে টাইপিং স্পিড বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দিন। এরপর এক্সেল এবং ওয়ার্ডের বেসিক থেকে অ্যাডভান্স পর্যন্ত শিখুন। ইউটিউবে “ডাটা এন্ট্রি টিউটোরিয়াল ফর বিগিনার্স” লিখে সার্চ করলে অনেক সহায়ক ভিডিও পাবেন, যেগুলো দেখে আপনি ডাটা এন্ট্রি করে আয় শুরু করতে পারেন।
দ্বিতীয় ধাপ হলো একটি অনলাইন প্রোফাইল তৈরি করা। Upwork বা Fiverr-এ একটি আকর্ষণীয় প্রোফাইল তৈরি করুন এবং আপনার দক্ষতা সম্পর্কে বিস্তারিত লিখুন। সম্ভব হলে কিছু স্যাম্পল কাজ তৈরি করে পোর্টফোলিওতে যোগ করুন। উদাহরণস্বরূপ, আপনি কিছু PDF ফাইলকে ওয়ার্ড ডকুমেন্টে কনভার্ট করে দেখাতে পারেন যে আপনি এই ধরনের কাজ করতে পারেন এবং ডাটা এন্ট্রি করে আয় করতে সক্ষম।
তৃতীয় এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো প্রথম কাজটি পাওয়া। নতুন হিসেবে আপনি প্রথমে কম দামে কাজ করতে পারেন, যাতে ক্লায়েন্টরা আপনাকে বিশ্বাস করে। কাজ পাওয়ার পর সময়মতো ডেলিভারি দেওয়া এবং ক্লায়েন্টের সাথে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি আপনাকে রেগুলার কাজ পেতে সাহায্য করবে। নিয়মিত কাজের মাধ্যমে আপনি ডাটা এন্ট্রি করে আয় বাড়াতে পারবেন।
অনলাইনে ডাটা এন্ট্রি করে আয় বাড়ানোর টিপস
একবার আপনি ডাটা এন্ট্রি কাজে অভিজ্ঞ হয়ে গেলে, আপনার আয় বাড়ানোর বিভিন্ন উপায় রয়েছে। প্রথমত, কাজের গতি বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দিন। বিভিন্ন টুল যেমন Grammarly (বানান পরীক্ষার জন্য), OCR সফটওয়্যার (PDF থেকে টেক্সট কনভার্ট করার জন্য) ব্যবহার করে আপনি আপনার উৎপাদনশীলতা বাড়াতে পারেন এবং আরও বেশি ডাটা এন্ট্রি করে আয় করতে পারেন।
দ্বিতীয়ত, ক্লায়েন্টের সাথে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখুন। সময়মতো কাজ জমা দেওয়া, ক্লায়েন্টের ফিডব্যাক মেনে চলা এবং পেশাদার আচরণ করা আপনাকে দীর্ঘমেয়াদী ক্লায়েন্ট পেতে সাহায্য করবে। অনেক সময় একটি ভালো কাজের জন্য ক্লায়েন্ট আপনাকে অন্য প্রজেক্ট অফার করতে পারে বা রেফারেন্স দিতে পারে। এতে আপনি ধারাবাহিকভাবে ডাটা এন্ট্রি করে আয় করতে পারবেন।
তৃতীয়ত, স্পেশালাইজড স্কিল শিখুন। সাধারণ ডাটা এন্ট্রির পাশাপাশি যদি আপনি Data Scraping, OCR টেকনোলজি বা ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট শিখতে পারেন, তাহলে আপনি বেশি বেতনের কাজ পাবেন। Coursera বা Udemy-তে এই ধরনের কোর্স পাওয়া যায়। এই স্কিলগুলো শিখে আপনি অনেক বেশি ডাটা এন্ট্রি করে আয় করতে পারবেন।
প্রতারণা এড়ানোর উপায়
অনলাইনে কাজ করার সময় প্রতারণার শিকার হওয়ার ঝুঁকি থাকে, তাই সতর্ক থাকা জরুরি। প্রথমেই যেসব ক্লায়েন্ট অগ্রিম টাকা চায় বা ফ্রি স্যাম্পল কাজ করতে বলে তাদের এড়িয়ে চলুন। Upwork বা Fiverr-এর মতো প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করুন যেখানে Escrow সিস্টেম রয়েছে, অর্থাৎ ক্লায়েন্ট প্রথমে পেমেন্ট জমা রাখে এবং কাজ শেষ হলে আপনি টাকা পান। এর মাধ্যমে আপনি নিরাপদে ডাটা এন্ট্রি করে আয় করতে পারবেন।
ক্লায়েন্টের প্রোফাইল ভালোভাবে চেক করুন। যদি কারো কোনো রিভিউ না থাকে বা প্রোফাইল সম্পূর্ণ না হয়, তাহলে সতর্ক থাকুন। কাজ শুরুর আগে ক্লায়েন্টের সাথে ভিডিও কল বা চ্যাট করে নিশ্চিত হয়ে নিন যে সে বিশ্বাসযোগ্য। ফেসবুক গ্রুপ বা লোকাল মার্কেটপ্লেস থেকে কাজ নিলে আরও বেশি সতর্কতা অবলম্বন করুন যাতে নিরাপদে ডাটা এন্ট্রি করে আয় করতে পারেন।
৫টি ওয়েবসাইট যেখানে ডাটা এন্ট্রি করে আয় করা যাবে
১. Upwork
Upwork বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস যেখানে ডাটা এন্ট্রি কাজের জন্য প্রচুর সুযোগ রয়েছে। এখানে ক্লায়েন্টরা তাদের প্রয়োজনীয় কাজ পোস্ট করেন এবং ফ্রিল্যান্সাররা বিড করে কাজ গ্রহণ করেন। ভালো প্রোফাইল, দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা থাকলে Upwork থেকে নিয়মিত ডাটা এন্ট্রি করে আয় করা সম্ভব।
২. Fiverr
Fiverr হলো এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে ফ্রিল্যান্সাররা তাদের নিজস্ব গিগ তৈরি করে ক্লায়েন্টদের কাছে অফার করতে পারেন। এখানে ডাটা এন্ট্রি, টাইপিং, ফর্ম ফিলিং, এবং ওয়েব রিসার্চের মতো বিভিন্ন কাজ পাওয়া যায়। Fiverr-এ প্রতিযোগিতা বেশি হলেও, সঠিক কৌশল অবলম্বন করলে ভালো ডাটা এন্ট্রি করে আয় করা সম্ভব।
৩. Freelancer
Freelancer আরেকটি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম যেখানে হাজার হাজার ডাটা এন্ট্রি প্রকল্প পোস্ট করা হয়। এখানে ফ্রিল্যান্সাররা বিডিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কাজ গ্রহণ করেন। যাদের নতুন প্রোফাইল, তারা ছোট প্রকল্পের মাধ্যমে শুরু করতে পারেন এবং ধাপে ধাপে ভালো রেটিং অর্জন করলে বড় কাজ পেতে পারেন এবং বেশি ডাটা এন্ট্রি করে আয় করতে পারেন।
৪. Amazon MTurk
Amazon Mechanical Turk (MTurk) হলো একটি মাইক্রোওয়ার্ক প্ল্যাটফর্ম যেখানে ছোট ছোট ডাটা এন্ট্রি কাজ পাওয়া যায়। এখানে সাধারণত ফর্ম ফিলিং, ক্যাপচা এন্ট্রি, ওয়েব রিসার্চ এবং ডাটা প্রসেসিং কাজ বেশি থাকে। যদিও পেমেন্ট কম হতে পারে, তবে নতুনদের জন্য এটি ভালো একটি মাধ্যম হতে পারে ডাটা এন্ট্রি করে আয় করার জন্য।
৫. Clickworker
Clickworker এমন একটি ওয়েবসাইট যেখানে মাইক্রো টাস্ক ভিত্তিক কাজ পাওয়া যায়। এখানে সাধারণত ছোট ছোট ডাটা এন্ট্রি কাজ থাকে, যেমন— ওয়েব রিসার্চ, টাইপিং, এবং ফর্ম ফিলিং। যারা একাধিক ছোট ছোট কাজ করে দ্রুত ডাটা এন্ট্রি করে আয় করতে চান, তাদের জন্য এটি একটি ভালো প্ল্যাটফর্ম।
আমাদের শেষ কথা
অনেকে প্রশ্ন করেন যে ডাটা এন্ট্রি করে আয় করে কি সত্যিই ভালো ইনকাম করা সম্ভব। উত্তর হলো হ্যাঁ, সম্ভব। আপনি যদি নিয়মিত কাজ পান এবং আপনার দক্ষতা বৃদ্ধি করতে থাকেন, তাহলে মাসে ২০,০০০ থেকে ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করা অসম্ভব নয়। অনেক ফ্রিল্যান্সার ডাটা এন্ট্রি থেকে শুরু করে পরবর্তীতে ডাটা অ্যানালিসিস, ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট বা অন্যান্য উচ্চ আয়ের স্কিলে নিজেকে উন্নীত করেছেন।
শুরুতে ধৈর্য্য ধারণ করা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ প্রথম দিকে কম কাজ বা কম বেতন পেতে পারেন। কিন্তু অভিজ্ঞতা বাড়ার সাথে সাথে আপনার আয়ও বাড়বে। অনলাইন ইনকামের এই পথটি সঠিকভাবে অনুসরণ করলে এটি আপনার জন্য একটি স্থায়ী আয়ের উৎস হয়ে উঠতে পারে।
তাহলে আজই শুরু করুন এবং ডাটা এন্ট্রি করে আয় করে আপনার ডিজিটাল ক্যারিয়ার গড়ে তুলুন। এছাড়াও আপনাদের আজকের ব্লগ নিয়ে কিছু জানার থাকলে আমাদের জানাবেন নিচে কমেন্টের মাধ্যমে। তো এরকম আরো অনলাইনে আয় নিয়ে নিয়মিত ব্লগ পোস্ট পড়তে চাইলে আমাদের ওয়েবসাটে নিয়মিত ভিজিট করুন।